ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'

দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ  ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় অশনি। তবে ঘুর্ণিঝড়ের দাপটে পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর পুর্বে বর্তমানে পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। ঘুর্নিঝড়টি বর্তমানে দক্ষিণ পুর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।  অতি গভীর নিম্নচাপটি রবিবারই ঘূর্নিঝড়ের রূপ নিয়েছে।   

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে চলেছে । ফলে ক্রমেই শক্তিশালী রূপ নিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ অশনি ’ , এদিন এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর । সাংবাদিক আবহাওয়া বৈঠকে দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন , আপাতত উপকূলের দিকেই এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় । গতিপথ উত্তর - পশ্চিমে । এর আগে এর গতিপথ হবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার তটবর্তী এলাকা । এরপর ঘূর্ণিঝড় আরও অগ্রসর হবে ওড়িশা উপকূলের দিকে । এর প্রভাবে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হবে । ১০ থেকে ১২ মে হালকা বৃষ্টি হলেও ১১ তারিখ থেকে ১২ মে পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনা এবং পূব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাল আবহাওয়া অফিস। যদিও প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন । ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে । অতি গভীর নিম্নচাপটি রবিবারই  ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে । ওড়িশার আবহাওয়া অফিস । এছাড়া বাকি সব জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর।  ঘুর্ণিঝড়ের জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 
অশনি সঙ্কেত মিলতেই তার মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন । দিঘা , রামনগর , মন্দারমণি সহ সর্বত্রই চলছে নজরদারি । দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে ২৪ টি আপৎকালীন গোষ্ঠী করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে । প্রয়োজনে এই গোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর । মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে । সমুদ্র উপকূলবর্তী দিঘা , শঙ্করপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্লাড সেন্টারগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে । প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও মজুত রাখা হয়েছে । পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন ' বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে যে ২৪ টি আপৎকালীন গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে তারা ইতিমধ্যে কাজে নেমে পড়েছেন । যদি প্রয়োজন হয় আরও গোষ্ঠী তৈরি করে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য মোতায়েন রাখা হবে । ' দুর্যোগে গাছ ভেঙে পড়ে যাতে রাস্তা আটকে না যায় সে জন্য বিভিন্ন এলাকায় বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা বিদ্যুতের খুঁটি এবং তারও দ্রুত সারিয়ে ফেলা হচ্ছে । আগরতলার খবর : ঘূর্ণিঝড় অশনির কোনও প্রভাব রাজ্যে পড়বে কি না তা এখন নিশ্চিত করেনি স্থানীয় আবহাওয়া অফিস । তবে স্থানীয় পূর্বাভাসে এদিন আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে , বজ্ৰ বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে । এর জেরে আকাশ মেঘে ঢাকা পড়তে পারে । গরমের প্রকোপ এর জেরে কিছুটা কমতে পারে ।

সম্পরকিত খবর