আগর সেক্টরে বিনিয়োগ, লাউস থেকে রাজ্যে আসছে প্রতিনিধি দল।

আগর সেক্টরে বিনিয়োগ, লাউস থেকে রাজ্যে আসছে প্রতিনিধি দল।

দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ  ত্রিপুরার সম্ভাবনাময় আগর সেক্টরে বিনিয়োগের লক্ষ্যে আগামী সোমবার লাওস (ভিয়েতনাম) থেকে আগর শিল্প সংস্থার পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য সফরে আসছে। প্রতিনিধি দলটি আগামী সোমবার রাজ্যে আসার পর এদিন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে। পরদিন মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে প্রতিনিধি দলটি  যাবে ধর্মনগর এবং কদমতলাইয়। সেখানে আগর প্ল্যান্টেশন পরিদর্শন করবে। কথা বলবেন আগর চাষি ও ব্যবসায়ীদের সাথে। মহাকরন সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ভিয়েতনামের এই শিল্প সংস্থাটি রাজ্যে একশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারে প্রাথমিকস্তরে। উল্লেখ্য, গত কদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার অলক ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছিলেন।সেখানে তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে ত্রিপুরার আগর চাষ ও শিল্প সম্ভাবনার বিষয়গুলি তুলে ধরে বিনিয়োগের আমন্ত্রন জানান। সেই সূত্র ধরেই আগামী সোমবার লাওস থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসছে আগর শিল্পের সম্ভাবনা ক্ষতিয়ে দেখতে।
ত্রিপুরার জলবায়ু ও মাটি উভয়ই আগর গাছ ও আগর চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অনেক আগে থেকেই ত্রিপুরার বিশেষ করে উত্তর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আগর গাছ রয়েছে। সেই গাছ এতদিন চোরাইপথে পাচার হয়ে যেত। অথচ আগ্র গাছ একটি মূল্যবান বনজ সম্পদ। এই গাছ ও গাছের ছাল, রস থেকে মূল্যবান সুগন্ধী থেকে শুরু করে নানা সামগ্রী তৈরি হয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সহ নানা দেশে আগর গাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আগর চাষকে রাজ্যে সেভাবে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। অথচ এই আগরকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে রাজ্যের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন সম্ভব। এই আগর সেক্টর থেকে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতে পারে।
এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, বর্তমান সরকারই রাজ্যের আগর সেক্টরকে বেশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। রাজ্যের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এবং পরিকল্পনায় আগর সেক্টরকে তুলে ধরার জন্য পৃথক 'আগরনীতি' রূপায়ন করা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো, সবই করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নির্দিষ্ট ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে ত্রিপুরার মাটি ও জলবায়ুতে বেড়ে ওঠা আগর চাষই রাজ্যের অর্থনীতিকে মজবুত করবে- এটা হলফ করেই বলা যায়।

সম্পরকিত খবর